মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে মতিন ফকির নামে মানসিক ভারসাম্যহীন ও মৃগীরোগী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাকুটিয়া সড়কের হাওলাদার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে একটি ডোবার মধ্য থেকে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কাউনিয়া থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ও সেকেন্ড অফিসার তানজিল ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশটি শনাক্ত করেন তার ভাই সাইফুল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাউনিয়া জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোঃ আবদুল হালিম।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়রা লাশটি একটি ডোবার মধ্যে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার এসআই গোবিন্দ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশটি কাউনিয়া থানার আওতাধীন ৩নং ওয়ার্ডের বলে নিশ্চিত হন। এ সময় নিহত মতিন ফকিরের ছোট ভাই সাইফুল লাশটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে তার বোন পুতুল এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে থানার সেকেন্ড অফিসার তানজিল আহম্মেদ, ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন, এসি (কাউনিয়া) মোঃ আবদুল হালিম ঘটনাস্থলে এসে নিহত মতিনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত মতিন ফকির একই থানাধীন মতাশার ফকির বাড়ির বাসিন্দা নওয়াব আলী ফকিরের ছেলে। তার স্বজনরা জানান, মতিন মানসিক প্রতিবন্ধী ও মৃগি রোগী ছিল। তাকে অনেক চিকিৎসকও দেখানো হয়েছে। এর আগে ঈদের দিনও তিনি পুকুরে পড়ে গিয়েছিল। সেদিন স্বজনরা দেখে ফেলায় প্রাণে বেঁচে যায় মতিন। বুধবার সকালে পানিতে ডুবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
তারা আরো জানান, নিহত মতিন ফকিরকে তিন বার বিবাহ করানো হয়েছিল। কিন্তু মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন স্ত্রী থাকেনি। অবশ্য মাঝে মধ্যে মতিন কারিকর বিড়ি বটতলা ব্রাঞ্চে কাজ করতেন বলেও জানান। এছাড়া ইতিপূর্বে দুই বার খালের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন নিহত মতিন বলে জানান তার বোন পুতুল।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত মতিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিহতের কারণ জানা যাবে বলেন তিনি।
Leave a Reply